0

ডাস্টবিন কান্ড – The dustbin case

Share

আজকের গল্প, The dustbin case.

আমাদের পাড়ার ময়লা নেওয়া গাড়ি মাইক বাজিয়ে আসার সময় আগে ছিল সকাল ৮ টা। এখন নিজের খেয়ালে আসে, কখনো ১০টা, কখনো ১২টা আবার কোনো দিন আসেই না। আগে শুধু শনিবারে প্লাস্টিক জঞ্জাল নিতো, এক শনিবারে গেলাম প্লাস্টিক জঞ্জাল নিয়ে। সেবার বললো প্লাস্টিক নেওয়ার বার বদল হয়েছে, এখন থেকে বুধবার শুধু প্লাস্টিক জঞ্জাল নেবে। আমিও আর সহ্য করতে না পেরে ওর সামনেই রাস্তার পাসে ফেলে চলে এলাম দুটি প্লাস্টিকের বোতল, মশলার প্লাস্টিকের প্যাকেট আর দুধের গুটি কয়েক প্লাস্টিকের প্যাকেট।

তার পর মাঝে মধ্যেই নানা রকম ফর্মাস। সব্জির জন্য আলাদা ডাস্টবিন ব্যাগ করতে হবে, রান্না খাবারের জন্য অন্য ডাস্টবিন ব্যাগ করতে হবে, এটা আলাদা হবে ওটা আলাদা হবে। ওদের ফর্মাস অনুযায়ী আমাকে ৫,৬টা আলাদা আলাদা ডাস্টবিন ব্যাগ রাখতে হবে। আমি গাড়িতে ময়লা দেওয়া বন্ধ করে দিলাম। ব্যাচেলর মানুষ, অল্প রান্না, অল্প জঞ্জাল। ৫,৬টা ডাস্টবিন ব্যাগ করলে হয়তো সব ডাস্টবিনে একটা করার item জমা হবে, তাতে ব্যাগের দাম আর জঞ্জালের মূল্যের মধ্যে আকাশ পাতাল difference হবে। অন্যদিকে পাড়ার কিছু বড়লোক বাড়ি থেকে ওরা নিজে গিয়ে জঞ্জাল নিয়ে আসে। সে জঞ্জালের আবার মা বাবা নেই। তাতে দোষ নেই, ওরা বড়োলোক। ওদের জঞ্জাল থেকে গোলাপের গন্ধ আসে। পরে শুনেছিলাম বড়োলোক বাড়ির মালিক ৫০/১০০ বকশিশ দেয় ফসফস করে।

আমাদের বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তায় একটা লাম্প পোস্টে, তার গোড়ায় অনেকেই আশেপাশের বিল্ডিং থেকে ছুড়ে ছুড়ে ওপর থেকে ডাস্টবিন ব্যাগ ফেলে দেয় রাতে। এরা সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার মতো ময়লার গাড়িওয়ালার দাঁত খিঁচুনি খায় না। আমিও এদের দলে এলাম। রাতে আমি নিজে হেটে গিয়ে ওখানে ডাস্টবিন ব্যাগ ফেলে আসি। সকালে ছাদ থেকে দেখেছি ময়লা গাড়িওয়ালা সকালে সেখান থেকে সব তুলে নেয়, টু শব্দ করে না। শুধু হাতে হাতে দিলে ৫,৬টা ডাস্টবিন ব্যাগ করতে নির্দেশ দেয়। আমি চেয়েছিলাম সমাজ সচেতন একজন মানুষ হতে, ওরা আমাকে হতে দিলো না। আমি দুঃখিত!

The dustbin case

The dustbin case