আচমকা বঙ্কিমচন্দ্রের প্রশ্ন শুনে কিঞ্চিৎ বিচলিত হয়ে যুবকটি উত্তর দিল আজ্ঞে একটা কেরানীর চাকরি করি।’
বঙ্কিম আবার জিগ্যেস করলেন, ‘তা মাইনে কত পাও?’
যুবকটি কুষ্ঠিত হয়ে বলল,’ বেশি নয়, মাত্ৰ বত্ৰিশ টাকা।’
তখন বঙ্কিমচন্দ্ৰ বললেন, ‘আমি তখন থেকে লক্ষ্য করছি, তুমি এই মহিলার দিকে বারবার আড়াচোখে তাকাচ্ছ! আমি এর ঘোমটা খুলে দিচ্ছি। বরং ভালো করেই দেখে নাও। হ্যা। আর একটা কথা বলি ভালো করে শুনে রাখে -আমি একজন ডেপুটিম্যাজিষ্ট্রেট এবং সাহিত্যিক। নাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আটশো টাকা মাইনে পাই। বইপত্র লিখেও ভালো আয় হয়। তা ধরো কমকরে সর্ব মিলিয়ে মাসে প্রায় দেড় হাজার দুহাজার! পুরো টাকাটাই আমি সমর্পণ করেছি, এই মহিলাকে। কিন্তু দুঃখের কথা, তবু এঁর মন আমি পাইনি!! আর তুমি কিনা বত্ৰিশ টাকার কেরানী হয়ে এর মন পেতে চাও! দেড় হাজারকে সরিয়ে! বাঃ!’
এক কামরা লোকের সামনে বঙ্কিমচন্দ্রের মুখে এহেন কথা শুনে নব্যযুবকটি লজায় রাঙা হয়ে আর বসে থাকতে পারল না। সে পরের স্টেশনেই চলে গেল অন্য কামরায়। বঙ্কিমচন্দ্ৰ নিশ্চিন্ত হয়ে পুনরায় মন দিলেন সংবাদপত্র পাঠে।
# ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত